সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৬ পিএম
গ্রেপ্তার সৎ বাবা মুসলিম পাটোয়ারী (বায়ে) ও তার সহযোগী মো. মোশারফ হোসেন। প্রবা ফটো
সাভারে স্ত্রীর প্রথম স্বামীর সংসারে জন্ম নেওয়া শিশু সন্তানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাসহ দুইজনকে গেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আব্দুল্লাহিল কাফি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত সোমবার শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় পরদিন মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধারসহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চাঁদপুরের কঁচুয়া থানার পদুয়া পাটোয়ারী বাড়ির মুসলিম পাটোয়ারী ও তার সহযোগী একই থানার সাহেদপুর গ্রামের গণি মাস্টার বাড়ির মো. মোশারফ হোসেন।
আট বছর বয়সী অপহৃত শিশুর নাম মো. ইমামুল। গ্রেপ্তার মুসলিম পাটোয়ারী তার সৎ বাবা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে পারুল বেগমকে বিয়ে করেন মুসলিম পাটোয়ারী। বিয়ের পর থেকে তারা সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় বসবাস করছেন। পারুল বেগমের প্রথম পক্ষের সন্তান ইমামুল। তাকে নিয়ে মুসলিমের সঙ্গে সংসার করছিলেন পারুল। গত ২২ এপ্রিল হঠাৎ নিখোঁজ হয় ইমামুল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে সাভার মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পারুল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি পারুলের মোবাইলে ফোন করে জানায় ইমামুল তার হেফাজতে রয়েছে। সন্তানকে ফেরত নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর যেতে হবে। পরবর্তীতে পারুলের স্বামী মুসলিম পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে জানায় ইমামুলকে উদ্ধার করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গেলে তাকেও আটকে রেখেছে অপহরণকারীরা।’
আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে অভিযানে নামে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি টিম। পরে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুসলিম ও তার সহযোগী মোশারফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মুসলিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার নিজ এলাকা থেকে শিশু ইমামুলকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পারুলের লিখিত অভিযোগ মামলায় নথিভুক্ত করা হয়। পরে আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার ওসি শাহজামানসহ সাভার মডেল থানার পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা।