মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫৮ পিএম
প্রতীকী ছবি।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষের ভেতর এক বিধবা নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিধবা। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর উপজেলার ১৪ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন তিনি। জয়ন্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার পেছনে তার ফসলি জমি রয়েছে। ঘটনার দিন (শুক্রবার) তিনি তার বোরো ধানের জমিতে পরিচর্যা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে জয়ন্তীপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছালে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী সাইফুল ইসলাম তাকে মুখ চেপে ধরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ওই নারীর চিৎকারে মাদ্রাসার মাঠে অবস্থান করা কয়েকজন যুবক বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তাদের উভয়কেই একটি কক্ষে আটক রাখে।
জয়ন্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এবং ১৪ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অভিযুক্ত সাইফুলের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের দাবি, সাইফুল নৈশপ্রহরী হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত নারীদের নিয়ে এসে রাত্রিযাপন করতেন। আগেও তার বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুলের দাবি, মাদ্রাসা মাঠে বহিরাগত যুবকরা রাতে মাদকসেবন করতেন। মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয় মাদকসেবী যুবকরা তার উপর ক্ষীপ্ত ছিল। ঘটনার দিন ওই যুবকদের চিৎকার চেঁচামেচিতে ভয়ে ওই নারী শ্রেণিকক্ষের একটি রুমে ঢুকে যায়। তিনি ওই নারীকে বাঁচাতে গেলে তাকে এবং ওই নারীকে শ্রেণীকক্ষে আটকে রাখে।
জয়ন্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি-সাইদুর রহমান তালুকদার বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জয়ন্তীপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার সফিউল আজম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সঠিক বিষয়টি জানতে পারছিনা। এর আগেও নারীঘটিত কেলেঙ্কারি ছিল তার। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমন কাজ মেনে নেওয়া হবেনা। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’