কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৬ পিএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৮ পিএম
মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর ত্যাগ করেছেন ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ বাংলাদেশি বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে ফিরছেন। ইতোমধ্যে তারা সিটওয়ে বন্দর ত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা জাহাজটিতে করে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য।
বিজিবি, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কথা বলতে কেউ রাজি হয়নি।
তবে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সফররত ‘মিয়ানমার নেভাল শিপ চিন ডুইন’ ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করবে। বুধবারের মধ্যে জাহাজটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পৌঁছবে এবং সেই সময়েই বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবানের, সাতজন রাঙামাটির, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে।
দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্য বলছে, হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি সাগরেই শেষ হবে। এরপর বাংলাদেশি জাহাজযোগে তাদের কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে আনা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বাংলাদেশি জাহাজটি সাগরে যাবে এবং মিয়ানমারের জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হবে।
প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। এক্ষেত্রে ইনানী জেটি ঘাটে নিরাপত্তাজনিত কারণে একটি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে। যেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে ১৯ এপ্রিল এক দিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ তিনজন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।