× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চা শ্রমিকের দুঃখ

মালিক মজুরি দিচ্ছে না খুব কষ্টে আছি

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫১ পিএম

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৪ পিএম

চা বাগানে কাজে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রবা ফটো

চা বাগানে কাজে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রবা ফটো

হবিগঞ্জের তিনটি চা কারখানায় এক মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ। অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বাগান তিনটির শ্রমিকদের বেতন-রেশন-বোনাস। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনটি বাগানের প্রায় ৪ হাজার ৮০০ শ্রমিক। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার দেউন্দি টি কোম্পানির অধীনে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি, লালচান্দ ও মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। যার পরিমাণ আড়াই কোটি টাকার বেশি। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বিল পরিশোধ না করায় গত ১৪ মার্চ কারখানা তিনটির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চুনারুঘাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জুনাইদুর রহমান বলেন, ‘দেউন্দি টি কোম্পানির তিনটি কারখানার কয়েক মাসে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিল বকেয়া পড়েছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের শাহজী বাজার আঞ্চলিক বিতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হোসাইন মো. জুনায়েদ বলেন, ‘দীর্ঘদিনের গ্যাস বিল বকেয়া থাকার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

এদিকে কারখানা বন্ধ থাকায় চা পাতা সংগ্রহের পর উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। বিপাকে পড়েছে তিনটি বাগানের ৪ হাজার ৮০০ শ্রমিক। অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বাগান তিনটির শ্রমিকদের বেতন-রেশন-বোনাস। নোয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক বারতি সাঁওতাল বলেন, ‘আমাদের তিন সপ্তাহের তলব (মজুরি) দিচ্ছে না মালিকপক্ষ। আমরা খুব কষ্টে আছি। কয়েক দিন ধরে ভাতের মাড় আর টিলা থেকে শাকপাতা সেদ্ধ করে খাচ্ছি। এভাবে আর কতদিন চলব জানি না। এত গরমের মধ্যে আমরা পাতা তুলেও যদি মজুরি না পাই, আমাদের কষ্ট কে দেখবে?’

চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি কমেড নায়েক বলেন, ‘বাগান তিনটির শ্রমিকদের বেতন-বোনাস অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। বেতন, বোনাস ও পেনশনের টাকা মিলিয়ে বাগান তিনটিতে শ্রমিকদের পাওনা কয়েক কোটি টাকা। নিয়মিত জমা হচ্ছে না প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও। সম্প্রতি কোনো বাগানে দুই সপ্তাহ, আবার কোনোটিতে তিন সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মজুরি না পাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটছে শ্রমিকদের।’ 

এদিকে দাবি আদায়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিল শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানার হস্তক্ষেপে তাদের আন্দোলন বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি কমেড নায়েক বলেন ‘জেলা প্রশাসক স্যারের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ রেখেছি। বুধবারে স্যার আমাদের ডেকেছেন। দেখি কী হয়, যদি কোনো সুরাহ না হয় তাহলে আমরা তিন বাগানসহ শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব।’ 

জানতে চাইলে নোয়াপাড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সোহাগ মাহমুদ বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দিয়েছে। ফলে চা উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়েক মাস ধরে কোম্পানির লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে শিগগির এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা