চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৩ পিএম
দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ। ছবি : সংগৃহীত
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি ওই বন্দরে গিয়ে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি জানান, দুবাইয়ের স্থানীয় সময় আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৪টায়) এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছায়। বর্তমানে জাহাজটি আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করা আছে। এখন জাহাজটি হারমিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের কলের অপেক্ষায় আছে, কখন বার্থিংয়ে যাবে। সম্ভবত আজ রাত অথবা কাল সকালে জোয়ারের সময় জাহাজটি জেটিতে বার্থিং নেবে।
তিনি আরও বলেন, বন্দরে পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা ওই বন্দরে খালাস হবে। এরপর সেখান থেকে কার্গো নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে। জাহাজটি দুবাইয়ের আর হারমিয়া বন্দরে পৌঁছার পর ওই বন্দর থেকে দুই নাবিকের নেমে যাওয়ার (সাইন অফ) কথা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর জাহাজ থেকে নামবেন।
১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর ১৪ মার্চ দুপুরে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে দীর্ঘ ৩১ দিন জিম্মি দশায় থাকার পর ১৩ এপ্রিল মুক্ত হন নাবিকরা।
মুক্তিপণ দেওয়ার পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপর জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হন ২৩ নাবিক। ছাড়া পাওয়ার পরপরই কাছাকাছি থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নিরাপত্তায় নিয়োজিত হয়। সোমালিয়া উপকূলের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র এলাকা পার হওয়া পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নিরাপত্তায় ছিল।
জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর এক ভিডিওবার্তায় জাহাজের সব যন্ত্রপাতি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘৩২ দিন জিম্মি দশায় থাকার পর ১৩ এপ্রিল রাতে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। আমরা জাহাজে এখন ২৩ জন নাবিক রয়েছি। সবাই সুস্থ এবং ভালো আছি।’