নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০০ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৮ পিএম
ভিডিওবার্তায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লুৎফুল হাবিব রুবেল।
সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। নির্বাচন নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে মন্তব্য করে রুবেল এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ষড়যন্ত্র করে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণার কথা জানান দেন।
ভিডিওবার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, কোনো মন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারই আলোকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রসেস রয়েছে সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করব।
রুবেল আরও বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। গত ৩ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদে পর পর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
তিনি দাবি করেন, গত ৮ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেই। তারপর থেকে যেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় রয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল বিকালে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় লুৎফুল হাবিব রুবেলের অনুসারীরা। পরে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় দেলোয়ারের বড় ভাই মজিবর রহমান নাটোর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে সুমন নামে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।