সালা উদ্দিন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৭ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫ পিএম
হাকালুকি হাওরের ভুকশিমইল এলাকায় ধান কেটে আঁটি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক। প্রবা ফটো
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হাকালুকি হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের শঙ্কায় হাওরে পানি ঢোকার আগেই ফসল ঘরে তুলতে আধাপাকা ধানও কাটছেন অনেক কৃষক।
হাকালুকি হাওরপাড়ের ভুকশিমইল, কানেহাত, কারেরা, বাদে ভুকশিমইল এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করেও কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে আসছেন। অনেক মৌসুমি শ্রমিক ধান কাটতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওরে এসেছেন। শ্রমিকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অতিরিক্ত উত্তপ্ত থাকায় ধান কাটা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও ধান মাড়াই করে ঘরে তোলা পর্যন্ত অনেকটা বেগ পেতে হবে। হাওরে সরাসরি সূর্যের তাপের মধ্যে ধান কাটার সময় বার বার গলা শুকিয়ে প্রচণ্ড পানির পিপাসা লাগে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয় বলেও জানান কৃষকরা।
হাওরপাড়ের কৃষক সালেহ আহমদ বলেন, ‘ধান পাকার আগে বৃষ্টি হলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। হাওরে উজানের পানি ঢুকলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। হাওরে এখন পানি না থাকায় ফসল তুলতে সুবিধা হচ্ছে।’ আরেক কৃষক রুহিন মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ধান পাকতে শুরু করলে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় ছিলাম।’
কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানান, গতবারে বোরো চাষের এলাকায় খরার সময় হিটশকের মাত্রা ধরা হয়েছিল। আক্রান্ত এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। ফ্লাওয়ারিং স্টেজের সময় অতিরিক্ত গরম বাতাস থাকায় শিষ থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ায় চারা থেকে ধান বের হয়নি। সব শঙ্কা কাটিয়ে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষকরাও।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে। বেশ ভালো ফলন হয়েছে। ধান কাটা শুরু হয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পুরো উপজেলার ধান কাটা শেষ হবে। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের কয়েকটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর দেওয়া হয়েছে।’