× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মরা খালে ফিরছে প্রাণ, হাসি ফুটছে কৃষকের

ওবাইদুল আকবর রুবেল, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২৬ পিএম

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩০ পিএম

দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকা ফটিকছড়ির হরিণাখালে চলছে প্রথম পর্যায়ের খননকাজ। প্রবা ফটো

দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকা ফটিকছড়ির হরিণাখালে চলছে প্রথম পর্যায়ের খননকাজ। প্রবা ফটো

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হরিণাখাল। উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালটি সংযুক্ত হয়েছে হালদা নদীর সঙ্গে। একসময় স্থানীয় কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখা খালটি দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় বন্ধ ছিল স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ। 

খালের এ বেহাল দশার কারণে অনাবাদি হয়ে পড়েছিল ভূজপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর কৃষিজমি। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে পানির তীব্র সংকট আর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো খালপাড়ের বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের এসব ভোগান্তি লাঘবে খালটি পুনঃখননে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। মরে যাওয়া খালটিতে ফিরতে শুরু করেছে পানির স্বাভাবিক গতি। এতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে এলাকাবাসী। হাসি ফুটেছে হাজারো কৃষকের মুখে। 

সম্প্রতি এ খালের পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, হরিণা খাল পুনঃখননের পর ভূজপুর ইউনিয়নের বৃহৎ এলাকায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা রোধ হবে। বাড়বে কৃষি উৎপাদন এবং স্বাবলম্বী ও লাভবান হবে কৃষক।

খালটি পুনঃখননে ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক উপকৃত হবে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্যসহ খালের দুই পাশের এক হাজার একর জমি বোরো মৌসুমে সেচের আওতায় আসবে বলে জানায় কৃষি সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে খালের আশপাশের বিলগুলো থাকবে জলাবদ্ধতামুক্ত। 

স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম, সুবল দাশ, শামসুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, খালটি দীর্ঘদিন অকেজো ছিল, কৃষকদের কোনো কাজে আসত না। বরং বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। খালটি পুনঃখনন কাজ শুরু হওয়ায় এখন হয়তো আমাদের ভাগ্য বদলাবে।

ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী শিপন বলেন, দীর্ঘদিন হরিণা খালটি ভরাট হয়ে পড়ে আছে। খালে পানিপ্রবাহ না থাকায় আশপাশের কৃষি জমিগুলো শুকনো মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারত না কৃষক। কৃষকদের কথা চিন্তা করে খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি। খননকাজ সম্পন্ন হলে হাজার হাজার একর জমিতে আবারও চাষাবাদ করতে পারবে কৃষকরা।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) চট্টগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী তমাল দাস বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ভূউপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রামের উদ্যোগে ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে এ বছর ৪ কিলোমিটার খাল খনন শুরু হয়েছে। পরবর্তী বছর ৮ কিলোমিটারসহ ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা। খাল খননে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা