আব্দুর রহমান মিল্টন, ঝিনাইদহ
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৯ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
ঝিনাইদহে ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে একের পর এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসে এসব ক্লিনিকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারান ৬ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬টি ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ক্লিনিকগুলো হচ্ছে জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিক, হাবিবা ক্লিনিক, স্মৃতি ক্লিনিক, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, হাবিবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, চলতি মাসে জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ৬ জন মায়ের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন সিজারিয়ানে এবং একজন জরায়ু অপারেশনের পরে প্রাণ হারান। তিনি আরও বলেছেন, জেলা শহরের অগ্নিবীণা সড়কের শামিমা ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) খুলনার পক্ষ থেকে একটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, ক্লিনিকগুলোতে অপারেশনের মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। যে কারণে মৃত্যুর হার বাড়ছে। মাতৃমৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং সার্জনদের সিজার করার সময় সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ছাড়া কোনো অপারেশন করা যাবে না বলেও কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জেলায় মোট বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৮০টি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিথিলা ইসলাম বলেছেন চলতি মাসে ৫০টির বেশি সিজার হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিকে পোস্ট অপারেটিভ ব্যবস্থা নেই।
ড্রাগ সুপার সিরাজুম মনিরা জানিয়েছেন, জেলা শহরের শামিমা ক্লিনিক ও বেসরকারি প্রিন্স হাসপাতাল থেকে স্যালাইন ইনজেকশন ট্যাবলেটসহ ১৭টি (ব্যবহার করা) আইটেম পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য ওষুধ প্রশাসনের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।