ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০৫ এএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৮ এএম
হাসপাতালে যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলামের মৃতদেহের পাশে স্বজনরা। প্রবা ফটো
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খায়রুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খায়রুল ইসলাম লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামাণিকের ছেলে ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।
আহতরা হলেন মসলেম মণ্ডলের ছেলে আবদুল মজিদ মণ্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামাণিকের ছেলে সাজু প্রামাণিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বেল হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মণ্ডল, হিরাজ সরদারের ছেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মণ্ডলের ছেলে আলিম মণ্ডল, মোজাম প্রামাণিকের ছেলে জিল্লু প্রামাণিক ও ইছাহাক হোসেন। তাদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমিসংক্রান্ত ঘটনার জেরে চরগড়গড়ি গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শাহীন, মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের সাজু প্রামাণিক গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় খায়রুল দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমিসংক্রান্ত ঘটনার জেরে এ হত্যাকাণ্ড। মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।