বেনাপোল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৪ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে চার দিনে ফিরেছে ১৮ হাজার যাত্রী। প্রবা ফটো
বেনাপোল বন্দর দিয়ে
ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছে যাত্রীরা। একযোগে অধিকসংখ্যক যাত্রীর ভিড়ে
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঈদের লম্বা ছুটিতে ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে
ভারতে গিয়েছিল তারা। ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৮২০ জন।
এর মধ্যে ১৬ এপ্রিল ৪ হাজার ৯১০ জন, ১৭ এপ্রিল ৫ হাজার ৩৬৩ জন, ১৮ এপ্রিল ৫ হাজার ১৪৯
জন ও ১৯ এপ্রিল ফিরেছে ৩ হাজার ৩২০ জন। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল
করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা
মনির হোসেন নামে একজন যাত্রী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে
চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। ভারতের পেট্রোপোলে লম্বা লাইনে
যে ভিড় তাতে ইমিগ্রেশন সারতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে অনেকটা অসুস্থ
হয়ে পড়েছেন। সেখানে ইমিগ্রেশনে জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে
যাত্রীদের।
বেনাপোল বন্দর সম্পর্কে
এখানকার পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যায়। ছুটি শেষ হওয়ায় ভারত থেকে যাত্রীরা দেশে ফিরতে
শুরু করেছে। ফলে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বন্দরের পক্ষ
থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এদিকে বাসে অতিরিক্ত
ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছে অনেক যাত্রী। তারা বলছে, দূরপাল্লার বাসে সিট সংকটের কথা
বলে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া পরিবহনভেদে জনপ্রতি নন-এসি ৫৫০
থেকে ৭৫০ টাকা, এসি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে নন-এসি ৮০০ টাকা এবং এসি ১৫০০
থেকে ২০০০ টাকা। দেশে ফেরার পথে টাকাপয়সা কম থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে অনেক যাত্রী।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ যাত্রী যারা ভারত যায় তারা সাধারণত বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর মতিয়ার রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘বেনাপোল দিয়ে কলকাতার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত যাতায়াত করে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি বৈধ যাত্রী। ভ্রমণকর বাংলাদেশ বাবদ সরকারের আয় হয় ১৫০ কোটি টাকা।’