মিয়ানমারে সংঘাত
কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৮ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫১ পিএম
টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য সীমান্ত পার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালের দিকে টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত দিয়ে তিনজন ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারাঝিরি সীমান্ত দিয়ে আটজন নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে ভোরে টেকনাফের নাফ নদে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য এসে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে শুক্রবার আসা ২৪ জনসহ মোট ২৮৫ জন ১১-বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধীনে আশ্রয়ে রয়েছেন।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১-বিজিবি) অধীনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনাসদস্যও রয়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনাসদস্য পালিয়ে আসেন। তারও আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির ১৪ জন সদস্য।
তিনি জানান, এর আগে থেকে এখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় সরকার।