রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৫ পিএম
শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে যান প্রতিমন্ত্রী পলক। ছবি : সংগৃহীত
নাটোর সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণের পর নির্যাতনের ঘটনায় নিজ শ্যালকের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আমি বা আমার আত্মীয় যেই জড়িত থাকুক তার বিচার হবে। এখানে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।’
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আহত নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে ফিরেই আমি তাকে দেখতে এসেছি। আমি বা আমার আত্মীয় যেই জড়িত থাকুন তার বিচার হবে। এখানে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। আমি আহত আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত যার নাম বলা হচ্ছে, আমার সঙ্গে আত্মীয়তার বাইরেও তার নিজের একটা রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। কাজেই তিনি যে শুধু আমার আত্মীয় বলে এমনটা করেছেন, তা নয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।’
এর আগে সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের কিছু নেতাকর্মী। এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজবাড়ির সামনে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। পরে রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মজিবর রহমান মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ঘটনায় সুমন ও বাবু নামে দুজন গ্রেপ্তার রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অপহরণে ব্যবহৃত কালো মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে মাইক্রোবাসটি কার তা চিহ্নিত করা যায়নি। মাইক্রোবাসে জাল নম্বর প্লেট লাগানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার এজাহারে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবের নাম না থাকায় তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’