চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২১ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৫ পিএম
তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে মানুষ। প্রবা ফটো
চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র দাবদাহ। টানা চার দিন ধরে ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে এ জেলায়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত এই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীরাও। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
তীব্র দাবদাহে হিট ওয়েভ জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে।
দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদের। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’
গরমে ক্লান্তির ছাপ মানুষের মুখে মুখে। প্রবা ফটো
চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।’
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, ‘সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।’
উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।