চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩১ পিএম
গ্রাহকের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে সপরিবারে চাঁদপুর শহরের পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর উধাওয়ের ঘটনায় ব্যাংকটির আট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পূবালী ব্যাংকের কুমিল্লা রিজিওনাল অফিসের আরএম জহিরুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার পূবালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর এখনও খোঁজ মেলেনি। তিন গ্রাহকের পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাংকের একাধিক তদন্ত টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে পৃথকভাবে নিখোঁজ ডায়েরি ও গ্রাহক ওকে এন্টারপ্রাইজের করা মামলার তদন্ত কাজ করছে পুলিশ।’
জহিরুল আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যাংকে থাকা নবাগত ম্যানেজার হুমায়ন কবিরসহ সকল কর্মকর্তাকে বদলি করে কুমিল্লা রিজিওনাল অফিসে নেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে এই শাখায় নতুন সেটআপ গ্রাহক সেবা দেবে।’
ঈদের আগে তিন গ্রাহকের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে সপরিবারে উধাও হয়ে যান চাঁদপুর শহরের পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী। ৪ এপ্রিলের পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
জেলার কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্রীকান্ত নন্দী। পরিবার নিয়ে থাকতেন কুমিল্লায়। সে বাসায় এখন তালা ঝুলানো। গেল ১৪ জানুয়ারি চাঁদপুর নতুন বাজার শাখায় যোগ দেন তিনি। এর আগে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা ও কুমিল্লার দাউদকান্দির একই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন।
ভুক্তভোগী গ্রাকরা বলছেন, এই ম্যানেজারের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল এবং তার প্রতি আস্থা ছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা না দিয়ে লাপাত্তা হন নন্দী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহক ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছে।
মামলার পর তদন্তে আসা পূবালী ব্যাংক কুমিল্লা রিজিওনাল অফিসের আরএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ গ্রাহকদের লেনদেনে কোনো সমস্যা নেই। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, একাধিক দল কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওকে এন্টারপ্রাইজের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ৪ এপ্রিল এই শাখা থেকেই উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি দুজনের (গ্রাহক) কোনো টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি।’
এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, ‘১ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। ৪ তারিখ মামলায় দেওয়া চেক দুটির টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে তারা (ব্যাংক কর্তৃপক্ষ)। শ্রীকান্ত নন্দীর অবস্থান নির্ণয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকাজ চলছে।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ‘এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’