গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
আহত গৃহবধূ শারমিন বেগম বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রবা ফটো
গোপালগঞ্জে সম্পত্তি
নিয়ে বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে অ্যাসিডে পুড়লেন এক গৃহবধূ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গভীর রাতে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া
গৃহবধূর নাম শারমিন বেগম। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীন মুন্সী সম্পর্কে শারমিনের চাচাত
ভাসুর। আহত গৃহবধূ বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছে।
গৃহবধূ জানান, উরফি
গ্রামে তার বাবা সিরাজুল হকের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলছে শাহীন
মুন্সীর। তারই জের ধরে গত বুধবার দুপুরে শারমিনের সঙ্গে ঝগড়া হয় শাহীনের পরিবারের।
ওই দিন রাতেই সিঁধ কেটে শারমিনের ঘরে প্রবেশ করেন শাহীন ও তার লোকজন। স্বামী
প্রবাসী হওয়ায় ৬ বছরের সন্তানকে নিয়ে একাই ওই ঘরে থাকতেন তিনি। ঘরে প্রবেশের পর শাহীন
ও তার লোকজন শারমিনকে মারধর করে একপর্যায়ে শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে
তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করে।
শারমিনের মা চম্পা বেগম
বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে আমার স্বামীর নামে ভুয়া ধর্ষণ মামলা দেয় শাহীন।
ওই মামলায় আমার স্বামী বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মামলাটি নিয়ে আমার মেয়ে শারমিনই
দৌড়ঝাঁপ করছিল। এ কারণেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ের শরীরে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে
দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, শারমিনের
দেহের ডান পাশে গলার নিচে ও বুকের ওপরের অংশ এবং শরীরের ডান পাশের পিছনে ১০
শতাংশ অ্যাসিডে ঝলসে গেছে। তবে শারমিন বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।