লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪১ পিএম
ছাত্রলীগ নেতা সজীব হত্যার বিচার চেয়ে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাবির আহমেদ, ওয়াহিদুজ্জামান বেগ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সজীব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার জন্য দিতে হয়েছে শোকবার্তা। যতদিন সজীবের খুনিরা আইনের আওতায় না আসবে, ততদিন ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বিচারের দাবিতে রাজপথে থাকবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাবির আহমেদ বলেন, সজীব হত্যার ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু জড়িত রয়েছে। তদন্ত করলে তা বের হয়ে আসবে। আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করছি না। বাবলু বিভিন্ন সময় সজীবকে হুমকি দিয়েছিল। আমরা সজীব হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে যৈদের পুকুর পাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটওয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয় আহত হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যায়। এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। একই দিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা জেলা কারাগারে রয়েছে। নিহত সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।