মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৫ এএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক পাহারায় বিজিবি সদস্যরা। ফাইল ছবি
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৪৬ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে চার দিনে দেশটির মোট ৮০ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিল।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এ ৪৬ জন পালিয়ে আসে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সীমান্তের ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নতুন করে আসা ৪৬ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে চার দিনে বাংলাদেশে নতুন করে ৮০ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আর ১৪ সদস্য।
নতুন করে আসা ৮০ জনকেই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২৬০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছে।
আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য।
তারও আগে ফেব্রুয়ারিতে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ১২ দিনের মাথায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ নাগরিককে ফেরত নেয় মিয়ানমার। ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানি নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।