বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩১ পিএম
ফাইল ছবি
বৈশাখের শুরুতেই বগুড়ায় তীব্র তাপদাহে পুড়ছে। টানা কয়েক দিনের তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এই তাপমাত্রা আরও দুদিন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ।
তিনি জানান, বগুড়ায় আজ সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। আর আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে, তীব্র গরম এবং লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে৷ ছায়া পেলেই সেই স্থানে দাঁড়িয়ে শরীরকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া শহরে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকানেও ভিড় জমিয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন অনেকে।
রিকশাচালক মিন্টু আলী বলেন, ‘বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে ইনকামও কমে গেছে।‘
রাজাপুরের কৃষক রফিকুল হোসেন বলেন, ‘তীব্র রোদে মাঠে কাজ করতে পারিনি। এজন্য ভোরে বাড়ি থেকে বের হই। রোদের তাপ বাড়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসি। এতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে ফসলের যত্ন নিতে।’
সাজেদুল ইসলাম নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘একে তো তীব্র গরম আর এই গরমে বাসায় বিদ্যুৎ থাকে না। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সাতমাথায় শরবত বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, রোদের যে তাপ এতে শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ ঠান্ডা পানীয় খেয়ে তাদের শরীর ও মনকে ঠান্ডা করছে। বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী মেগাওয়াট না পাওয়ার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি- ১ জেনারেল ম্যানেজার মোনয়ারুল ইসলাম ফিরোজী।
তিনি বলেন, ‘আমার এরিয়াতে ৮০-৮৬ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মতো না পাওয়ায় ১৪ থেকে ২০ শতাংশ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।’