পদ্মায় নিখোঁজ বাবা-খালুর পর রামিনের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়ে পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া বাবা, খালুর পর কিশোর রামিন আরিদের মরদেহ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে তার মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ঈদের ছুটিতে পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে গোসলে নেমে শুক্রবার বিকেলে নিখোঁজ হয় বাবা-ছেলেসহ তিনজন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে টঙ্গীবাড়ী  উপজেলার বেসনাল এলাকার তাদের স্বজন আলম মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রামিদসহ বেশ কয়েকজন। পরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারে করে ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হয়। পরে তারা বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসল করতে নামে। এ সময় রামিন নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা রিয়াদ আহমেদ রাজু  ও খালু জুয়েল রানা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়। 

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিম ও নৌ-পুলিশ।

টঙ্গীবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, সংবাদ পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। ঢাকা থেকে  প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার চর আব্দুল্লাহ নৌফাড়ির ইনচার্জ আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের টিম রয়েছে। নিখোঁজ তিনজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।