সরাইল (ব্রাহ্মনবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১২ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ‘খাস জমির’ ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ওই চাষির নাম কামাল উদ্দিন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ব্যপারে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, একটি সরকারি জায়গা চাষ করা ধান নিয়ে স্থানীয় রিপনদের সঙ্গে আরেক পক্ষ কাউছার, মাসুক ও আফজালদের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষ সভায় বসে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও সভা হয়। উভয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় সরকারি ওই জমির ধান দুই পক্ষের কেউ কাটতে পারবেন না এবং এই ধান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে কাটা হবে।
উভয়পক্ষ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়। তবে সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঈদের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ইউপি সদস্য জুয়েল, নাজমা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুন্না, আজিজ ও ময়েজের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমির ধান কেটে নেয়।
পুলিশ লুকিয়ে রাখা ধান উদ্ধার করে জব্দ করে। পরে এক পক্ষকে ধানগুলো দিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে আজ সকালে দফায় দফায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় মাথায় আঘাত পাওয়া কামাল উদ্দিনকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তাদেরকে সরাইল ও জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
নিহত কামাল উদ্দিনের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, জমির ধান কাটার বিরোধে সংঘর্ষ হয়। আমরা নিরপেক্ষ থাকা সত্ত্বেও দাঙ্গাবাজরা আমাদের বাড়ি ঘরে এসে হামলা করে আমার ভাই কামাল উদ্দিনকে খুন করেছে।