মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ
কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ঈদেও স্বস্তি মিলছে না কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের মানুষের। রাখাইন রাজ্যে দফায় দফায় মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে হোয়াইক্যং, হ্নীলা, শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভেসে আসছে। এতে ওইসব এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে সীমান্তে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে থাকার কথা বলেছেন কোস্টগার্ড ও বিজিবিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা বলছেন, ঈদের দিন ও শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণের এসব বিকট শব্দে ভেসে আসছে। এখনও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ শেষে বাড়িতে এসে একটু যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, তখন মিয়ানমারের ওপার থেকে ভারী বিস্ফোরণের শব্দে এপারে ভেসে আসে। এতে সীমান্তের বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠে। সারাদিন থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দে শোনা গেলেও রাতে তা আরও তীব্র হয়ে উঠে।
শুক্রবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
টেকনাফের হ্নীলার স্কুল শিক্ষক আবুল হোছাইন হেলালী বলেন, মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যেই তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে দিনের পর দিন এপারের সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ আগের তুলনায় এখন বেশি শোনা যাচ্ছে। ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখন পর্যন্ত থেমে থেমে ওপার থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, ঈদেও বন্ধ নেই মর্টার শেল আর বিস্ফোরণের শব্দ। থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে সীমান্তের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
টেকনাফের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, নাফনদীর ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। আর আমাদের সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের কোন নাগরিক যাতে অনুপ্রেশ করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছেন।