বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০০ পিএম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৫ পিএম
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রাসেল আলী গ্রেপ্তার। প্রবা ফটো
বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলার মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম রাসেল আলী। তিনি এই মামলার ২৭ নম্বর আসামি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি নুরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজ হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, থানায় হামলা ও পরে পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের মামলা দুটির তদন্তভার শাজাহানপুর থানা থেকে জেলা ডিবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর রাতেই আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে ডিবি। পরে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই নিয়ে নুরুসহ মোট ১২জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে যে ৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল সেটির শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মামুন বলেন, 'রাসেল আলী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না তা জানা নেই।'
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন।
এদিকে, গত ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, দুটি বার্মিজ চাকু ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিঠুনের নামে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলমান। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর অভিযান পরিচালনা করে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং নুরুর ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে পুলিশ এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করে।