অরূপ রতন, বগুড়া
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৩ পিএম
পছন্দের পোশাক ফিটিং করতে টেইলার্সে ভিড় ক্রেতাদের। প্রবা ফটো
ঈদের আগ মুহূর্তে বগুড়ায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়েই চলেছে বিভিন্ন শপিং সেন্টার ও মার্কেটগুলোতে। দিন-রাত দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন তারা। আর নতুন পোশাক নিজের সঙ্গে ফিটিং করে নিতে ছুটছেন কাটিং ও ফিটিং মাস্টারদের কাছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে এবং বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বগুড়ার আলতাব আলী ও নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটের পাশেই সেলাই মেশিন নিয়ে বসে ক্রেতাদের নতুন পোশাক কাটিং ও ফিটিংয়ের কাজ করছেন দর্জিরা। ক্রেতারা মাপ অনুযায়ী ঈদের জন্য কেনা নতুন পোশাক কেটে ফিটিং করে নিচ্ছেন।
আব্দুর রহমান নামে এক যুবক বলেন, ‘পছন্দ মতো শার্ট নিয়েছি। সাইজ ঠিকঠাক করে নিতে টেইলার্সে আসছি৷ তবে এবার রেট বাড়িয়ে দিয়েছে।’
নিলয় ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাঞ্জাবি নিয়েছি। সব ঠিক আছে কিন্তু হাতাটা একটু অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে৷ তাই মাপ অনুযায়ী ফিটিং করে নিচ্ছি।’
ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘ছেলের প্যান্টের পায়ের অংশ কেটে নিলাম। এই যুগের ছেলেরা ফিটিং ছাড়া পরতেই চায় না।’
নাবিল ফিটিং হাউজের ওমর ফারুক নামে এক কাটিং ও ফিটিং মাস্টার জানান, একটি শার্ট ফিটিং করতে ৮০ থেকে ১০টাকা, প্যান্ট ১০০ থেকে ১৫০টাকা, পাঞ্জাবি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও টিশার্ট ৩০ থেকে ৫০ টাকা মজুরি নেন। আর মেয়েদের পোশাক ফিটিং করতে পোশাক ভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। তবে মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি পোশাক ফিটিং করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
নুসাইবা ফিটিং হাউজের নয়ন আকন্দ বলেন, ‘ঈদের আগের দিন একটু কাজের চাপ বেড়েছে। আর জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের মাস্টারদের মজুরিও বেশি দিতে হয়। তাই এবার কিছুটা কাজের দাম বাড়িয়েছি আমরা।’
সিয়াম ফিটিং হাউজের মাস্টার শাহীন মন্ডল বলেন, ‘ঈদের আগের এক সপ্তাহ টানা ফিটিংয়ের কাজ করতে হয়। বিশ্রামের সময় পাওয়া যায় না। এবার গত কয়েক ঈদের তুলনায় এবার কাজ বেশি হচ্ছে।’