ঈদের কেনাকাটা
মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৬ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪০ পিএম
বিনা পয়সায় বাজারে পছন্দের পোশাক পেয়েছে দুই শতাধিক শিশু। প্রবা ফটো
কোনো বিপণি বা বাজার নয়, ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের নতুন পোশাক। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফ্রগ, কামিজসহ বাহারি পোশাকে সাজানো চারটি স্টল। যার যার পছন্দমতো পোশাক নিচ্ছে শিশুরা। অপর পাশে পোলাও চাল, সেমাই, চিনি ও পেঁয়াজ নিয়ে বসেছে আরেকটি স্টল। আর পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী নিতে টাকা দিতে হচ্ছে না।
শনিবার (৬ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এমন আয়োজন করে ‘শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন’ নামে স্থানীয় একটি বেসরকারি সংগঠন। স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় কেনা হয়েছে পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী। সেগুলো বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বসানো হয়েছে বাজার। নাম দেওয়া হয়েছে বিনা পয়সার বাজার। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এই বাজার থেকে দুই শতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে বিনা পয়সার বাজার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল। অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জিকু, হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উজ্জল হোসাইন, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা দেবাঞ্জ পণ্ডিত, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এবিএম চঞ্চল, হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম জহির রায়হান, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ মকসুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুখলেসুর রহমান মোকলেছ, সাবেক সভাপতি আল আমিন অপু প্রমুখ।
ইউএনও অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ‘এমন উদ্যোগ আগে কখনও দেখিনি। তারা (শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন) যে কার্যক্রম করেছে, এতে শিশুদের পছন্দের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা মোবারক, রহিনসহ কয়েকজন জানায়, কোনো টাকা ছাড়াই পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনতে পেরেছে। তাদের পছন্দের জিনিস পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। শ্রাবণ, জুমাসহ অপর কয়েকজন ক্রেতা বলে, ‘আগেও শীতের পোশাক পাইতাম। কিন্তু নিজেদের পছন্দ কইরা নেওয়ার সুযোগ আছিল না। এইহান থাইক্যা নিজেদের পছন্দমতো সোয়েটার লইছি। এহন পছন্দমতো পাঞ্জাবি লইলাম।’
শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, ‘আমরা সাত বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করছি। কিন্তু যাকে পোশাক দিয়েছি তার পছন্দ অনুযায়ী হয়েছে কি নাÑ সেটা বুঝতে পারতাম না। শিশুদের পছন্দকে প্রাধান্য দিতেই আমাদের এমন আয়োজন।’