সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫৪ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪১ পিএম
আশুলিয়ায় দুই কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্পসহ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
বিভিন্ন পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবর (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মো. আসিফ ইকবাল ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের মো. জুয়েল। একটি পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এই চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে আসিফ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এই জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তার আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাভার সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।