বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৬ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১০ পিএম
শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লেগে ১৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। প্রবা ফটো
বগুড়া শহরের শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১৫টি দোকান ও এতে থাকা সব মালামাল পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দেড় কোটির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, শাপলা মার্কেটে প্রেস, কম্পিউটার, পোশাক ও সেলাই মেশিনের দোকান রয়েছে। মূলত পোশাকের দোকানসহ ১৫টি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ এসব দোকানে দেড় কোটি টাকার পরে মালামাল ছিল। ঈদের আগে এই আগুনে ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, আমার দোকানে গার্মেন্টস আইটেম ছিল। আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্র এরুলিয়া থেকে রওনা দেই। এসে দেখি সব পুড়ে গেছে। আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, আমার দোকানের একটা সুতাও নাই যেটা দিয়ে কিছু একটা করব৷ সেলাই মেশিন ছিল সেটিও পুড়ে গেছে৷ নগদ টাকা এবং কম্পিউটার ছিল সেগুলোও পুড়ে গেছে।
মাসুদ নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, ঈদের জন্য দোকানে প্রায় ১৪ লাখ টাকার গেঞ্জি ও প্যান্ট তুলেছিলাম। সব পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে ৭টি দোকান ছাপাখানা ব্যবসায়ীর বলে জানান ভুক্তভোগী আল আমিন। তিনি বলেন, আমার দোকানে চারটা কম্পিউটারসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন,‘সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে আমরা শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পেয়ে প্রথমে সদরের ৫টি এবং পরে কাহালুর ২টি ও শাজাহানপুরের ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়৷ প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে৷ তবে কী কারণে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে গিয়ে নূরজাত নামে আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’