কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫০ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৪ পিএম
চকরিয়া থানা। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ হামলা চালিয়ে একজনের পা ও আরেকজনের হাত কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়েছেন পা কাটায় আহত ব্যক্তি। এ হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরেকজন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণে টুটিয়াখালী রাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলে হাসান রিয়াদ চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের মগপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলামের ছেলে। হামলায় তার ডান পা গোড়ালি পর্যন্ত কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হামলায় মোহাম্মদ ছোটন ওরফে ছোটইন্না চোরা নামের একজনের এক বাম হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়। তিনি বদরখালী ইউনিয়নের আহমদ কবিরঘাটা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
এ ছাড়া ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে বদরখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়ী পাড়ার মোহাম্মদ বারেকের ছেলে মো. জিদান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বদরখালীতে স্থানীয় নজরুল ও বাহাদুরের লোকজনের সঙ্গে রিয়াদ ও ছোটনের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মাঝে মধ্যে চলতো হামলা ও পাল্টা হামলা। দুইপক্ষের লোকজনই নানা অপরাধে অভিযুক্ত। দুইপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। হামলায় আহত ছোটন একটি হত্যা এবং রিয়াদ ডাকাতিসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, দুই বছর আগে দুইপক্ষের সংঘর্ষের একজন খুন হন। এতে রিয়াদ ও ছোটনসহ তাদের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় ছোটনসহ তাদের পক্ষের অনেকে আসামি। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শুক্রবার রাতে পূর্ব বিরোধের জেরে বদরখালী বাজারে রিয়াদ, ছোটন ও জিহানসহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছিল। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় তাদের ওপর হামলে পড়ে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ছোটনের এক হাত এবং রিয়াদের এক পা কেটে ফেলে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাদের পক্ষের অপর একজন।
তিনি বলেন, পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তাদের চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।