বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম
আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে আনসার ব্যাটালিয়ন হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১১ জনকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
বাগেরহাট আমলি আদালত-২-এর বিচার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল আজাদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ আছাবুর গাজী নামের এক আসামি পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. মানিক শেখ, মো. ফজলু গাজী, মো. সলাম শেখ, মো. মনি গাজী, মো. নূর নবী শেখ, মো. আসাদ মোল্লা, মো. আব্দুল্লাহ, মো. বায়জিদ, মো. রুবেল শেখ, মো. মানজুর গাজী, মো. আছাবুর গাজী। তাদের সবার বাড়ি রামপাল উপজেলায়। মামলার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে বৃহস্পতিবার দিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব আসামিকে আটক করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যাটারিয়াল ইয়ার্ডের তিন নম্বর টাওয়ারের সীমানাপ্রাচীর কেটে ৫০-৬০ জন সশস্ত্র ডাকাত দলকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে নিরাপত্তাকর্মীরা চিৎকার দেয়। এ সময় অস্ত্রধারীরা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা সুপারভাইজার আকরাম, প্রহরী মো. শেখ সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মণ্ডল ও আনসার ব্যাটালিয়ন হাবিলদার কামাল পাশা গুরুতর আহত হন। জীবন বাঁচাতে ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় কামাল পাশা তার নিজ নামে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এসএমজি দিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তখন অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা ১ হাজার ৫০০ কেজি লোহা নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা।
আহতদের মধ্যে কামাল পাশা ও মিন্টু বৈরাগী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য তিনজন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৌমেন দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডাকাতির চেষ্টা, ডাকাতি, হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আরও এক আসামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’