কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৩ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৮ পিএম
কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার করে। এদের মধ্যে সাতজন টেকনাফের রাজমিস্ত্রি ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এ ছাড়া অপর দুজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারী।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে যাত্রীবাহী আরও একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমার পরিষদের এক গ্রামপুলিশও ছিল।
তবে উদ্ধার হওয়াদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ নুর হক জানান, ১২টার দিকে তিন শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছলে বড় ঢেউয়ের কবলে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও সাগরে দুটি বাচ্চা নিয়ে এক ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদের উদ্ধার করে।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, যে স্পিডবোডটিতে দুর্ঘটনা হয়েছে এটা আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে।