মিয়ানমার সংঘাত
টেকনাফ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫০ পিএম
সীমান্ত পাহারায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি-কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। থেমে থেমে মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এদিকে সীমান্ত পাহারায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি-কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় এপারের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শতাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বদিকে মিয়ানমারের বলিবাজার, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পেয়ে এপারে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার সীমান্তের বাসিন্দা ফরিদ আলম জানান, শুক্রবার সকালে তিনি বাড়ির উঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে ভয় পেয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েন। বিস্ফোরণের শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। পরে বুঝতে পারেন মিয়ানমারে বিস্ফোরণ হয়েছে।
উপজেলার খারাংখালীর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিকট শব্দে বাড়িতে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব সময় ভয়ে থাকি কখন মর্টার শেল বাড়িতে এসে পড়ে।‘
হ্নীলার বাসিন্দা মো. জামাল বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে যেভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে, তাতে এলাকার লোকজন খুবই আতঙ্কে আছে। স্থানীয় শ্রমিকরা কেউ লবণমাঠে কাজ করতে যেতে পারেননি।’
হোয়াইক্যংয়ের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাহ জালাল বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে সংঘাত কিছু দিন কমেছিল। কয়েক দিন ধরে আবারও শুরু হয়েছে।’
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ এখন প্রতিদিনই হচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের তাই সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।’
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘কিছু দিন বন্ধ থাকার পর রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকেও মর্টার শেল, গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।‘
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’