কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩০ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৩ পিএম
সিজারের বিল পরিশোধ করতে নবজাতককে বিক্রি করে দেন এক মা। পরে খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়ন থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে উলিপুর থানা পুলিশ।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, উলিপুর উপজেলার মনারকুটি গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ২০ হাজার টাকার চুক্তিকে সিজারের মাধ্যমে ২৩ মার্চ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। স্বামী খোঁজ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে সিজারের টাকা পরিশোধের জন্য একমাত্র সন্তানকে ২৬ মার্চ অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি করে দেওয়ার কথাবার্তা চূড়ান্ত করেন ওই নবজাতকের মা।
পরে নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুরের দিকে সন্তানকে ফিরিয়ে পেতে উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক উলিপুর থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে— রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের রামশিং মুন্সিপাড়া এলাকার নিঃসন্তান সেলিনা বেগম দম্পত্তির কাছে এক লাখ টাকায় নবজাতকটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে দুই ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে শিশুসন্তানকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
হাবিবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী অভিমান করে সন্তান বিক্রি করার সিন্ধান্ত নেয়। আমার সন্তানকে উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকায় আমি মুগ্ধ। তাদের কারণেই আমার সন্তানকে ফিরে পেলাম। আমি এজন্য পুলিশকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
জানতে চাইলে ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার মা পারভিন বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। সন্তানকে ফিরে পেয়ে দারুণ আনন্দিত তার বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা। এ ছাড়াও তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল, তা মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।’