চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩১ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৫ পিএম
আহত মাদ্রাসাছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রবা ফটো
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়ইতিকাফে না বসার কারণে মো. ইয়ামিন নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার দুলারহাট থানাধীন আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসাছাত্রের বাবা দুলারহাট থানায় অভিযোগ করেছেন। ইয়ামিন চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ্ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
মাদ্রাসা ছাত্র ইয়ামিন ও তার বাবা মোহাম্মদ হোসেনের অভিযোগ, ইয়ামিনকে ২০ রমজানে ইতিকাফে বসতে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব। ইয়ামিন ইতিকাফে না বসে বাসায় চলে যায় এবং ২০ রমজান রাতে বাসায় থাকে। এরপর সোমবার সকালে ইয়ামিন মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষক হাবিব টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বেধরক মারধর করেন। আহত অবস্থায় ইয়ামিনকে সোমবার তারবারির পর থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় বদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক হাবিব। পরে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে মোহাম্মদ হোসেন ছেলেকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দুলারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাবিব পলাতক থাকার কারণে তার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম জানান, মাদ্রাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারনে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদ্রাসা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সাহেব সৌদি আরব থেকে ওমরা হজ্ব করে দেশে আসলেই হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।