রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি
বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩০ পিএম
সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা। প্রবা ফটো
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার কে জানতে চাইলে সবাই চুপ করে থাকে। একপর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সঙ্গে করে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে গেট ভেঙে অফিসে থাকা অফিস সরঞ্জাম নষ্ট করে ফেলে এবং ব্যাংক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে মোট ১৪টি আগ্নেঅস্ত্র লুট করে। এরপর ব্যাংক ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
আরও পড়ুন: রুমার পর এবার দিন দুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি
রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা জানান, ডরমিটরি বাইরে যুব উন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খাইতে গেলে মুখে কালি লাগানো অপরিচিত তিনজন লোক অস্ত্রের মুখে দাঁড় করায় এবং তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে পকেটে থাকা এক হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে গিয়ে দেখেন অফিস সরঞ্জাম গুলো ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। এ ছাড়া তার জানামতে ভল্টের ভিতর ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুইটি চাবির মধ্যে তার কাছে ১টি এবং অপহরণের শিকার ম্যানেজারের নিকট অপরটি থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত টাকা লুটের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো প্রকার মামলা হয়নি।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি, আনসারের ৪টা শর্টগান ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা করেছে ক্রাইমটিম আসলে তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতিতে কুকি-চিন সম্পৃক্ত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম এলেই বোঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কি না? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।