× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টাঙ্গাইলের ১৩ কিলোমিটার পথ নিয়ে দুশ্চিন্তা

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪২ এএম

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০৩ এএম

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান থাকায় এখানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রবা ফটো

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান থাকায় এখানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। প্রবা ফটো

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যাতায়াতের প্রধান সড়কটি গেছে টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে কুষ্টিয়ারও অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে ঈদের ছুটিতে মহাসড়কটিতে যানজট ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী। তবে টাঙ্গাইল পুলিশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরেছে মানুষ। এবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে যাত্রাবিরতিতে যে যানজট হয় তা ঠেকাতে এবার ২২টি অতিক্তি টোলবক্স বসছে। তবু টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান থাকায় এখানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চার লেন সড়ক দিয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত দ্রুত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন। চার লেনের যানবাহন দুই লেন সড়কে প্রবেশের সময় জট সৃষ্টি হয়। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত সড়কে রয়েছে একাধিক খানাখন্দ। ফলে ঢাকামুখী যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। 

ঢাকা-উত্তবঙ্গ রুটের বাসচালক আব্দুল হালিম বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট লাগে। গাড়ি ওভারটেক করলে বা বিকল হলে যানজট লেগে যায়। তবে পুলিশের সহযোগিতায় গত কয়েক বছর যানজট কম। এবারও যদি পুলিশ ভালো ডিউটি করে তাহলে যানজট থেকে মুক্তি পাব।’

আকরাম আলী নামে আরেকজন বাসচালকও পুলিশের ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে আমরা যানজটের আশঙ্কা করছি। যানজটে পড়লে আমাদের সময়ও বেশি লাগে, অর্থনীতিরও ক্ষতি হয়। তবে পুলিশ প্রশাসন যদি ঠিকমতো রাস্তায় কাজ করে, তাহলে গতবারের মতো এবারও শান্তিতে বাড়ি যেতে পারব।’

যাত্রীরাও মনে করে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন ফয়সাল মিয়া। তিনি বলেন, যানজট হলে বিশেষত নারী ও শিশুদের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পুলিশ যদি যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করতে না দেয় তাহলে যানজট হবে না।’ কবিতা আক্তার নামে একজন যাত্রী বলেন, ‘ঈদে বাড়ি যাই তখন দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থাকতে হয়। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত কোথাও গাড়ি ব্রেক করার জায়গা নেই। তখন আমাদের বাথরুম চাপলে কোথাও যেতে পারি না। পুলিশ যেহেতু এবার ব্যবস্থা করেছে, এতে সুবিধা হবে। পুলিশ প্রশাসন ঠিকমতো ডিউটি করলে আশা করি যানজট হবে না।’

যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে। এবার ঈদের সময় যদি কাজ বন্ধ রাখা হয় তাহলে বেশি যানজটে পড়তে হবে না। রাস্তায় কাজের জন্য মাঝে মাঝে গাড়ি থেমে থাকে। একসঙ্গে এত গাড়ি রাস্তায় নামলে সমস্যা হবেই। অতিরিক্ত গাড়ির চাপের পাশাপাশি ফিটনেসহীন ও বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে বড় সমস্যা হয়।’

যাত্রী ও চালকদের মতামত সম্পর্কে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঈদে গাড়ির চাপ বাড়ে। তাই এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একমুখী চলবে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর বিকল্প সড়ক হিসেবে গোলচত্বর থেকে উত্তর দিকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসবে। ফলে যানজট হবে না।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোল পাম্প, হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন, সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হবে। ইফতার ও সেহরিতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানজটে আটকা পড়া মানুষের মাঝে পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবার ঈদে ৭০০ পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা হাইওয়েতে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। অনেক সময় ঈদের আগের দিন রাস্তা তুলনামূলক ফাঁকা হয়ে যায়। অনেক ব্যবসায়ী ফাঁকা রাস্তায় বাড়িতে যেতে গেলে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়তে পারে। সেজন্য পুলিশ ঈদের সাত দিন আগে থেকে ঈদের পরের দুই দিন পর্যন্ত হাইওয়েতে ডিউটি করবে।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল দেওয়ার সময় ঈদে গাড়ির চাপে জট লাগে। তা যাতে না হয় এবার সেজন্য অতিরিক্ত টোলবক্স বসছে। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৯ থেকে ২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পার হয়। ঈদে এ সংখ্যা আড়াই থেকে তিনগুণ বাড়ে। গত বছর সর্বোচ্চ ৫৬ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছিল। যখন সেতুর ওপর গাড়ির চাপ পড়ে তখন টোল আদায়ে সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্যও জট হয় কিছুটা। এবার সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি এবং মোটরসাইকেলের জন্য দুটি করে মোট চারটি টোলবক্স বসানো হবে। তাছাড়া এবার লম্বা ছুটি থাকায় সড়কে যানজট হবে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা