চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৭ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫০ পিএম
ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে মীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশ। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামে ডাস্টবিন থেকে সাত বছর বয়সি এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মীর হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বউবাজার এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার যুবক ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডে ফলমণ্ডির সামনে ডাস্টবিন থেকে মেয়েটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নাসরিন তার মা বিলকিস বেগমের সঙ্গে বউবাজার এলাকায় থাকত। গ্রেপ্তার আসামি মীর হোসেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত গরীব হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বউবাজার পুলিশ বিট এলাকার হিরুনির বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় থাকে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে বিলকিস বেগম ও তার মেয়ে নাসরিন কোতোয়ালি থানাধীন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তা থেকে কাগজ/বোতল সংগ্রহ করে সেখানে অবস্থান করে। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বিলকিস বেগম তার মেয়েকে হাসপাতালের সামনে বসতে বলে হাসপাতালের বিপরীতে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটের সামনে মানুষের কাছে টাকা খুঁজতে যায়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের সামনে ফিরে নাসরিনকে খুঁজে পাননি। সোমবার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন ফলমণ্ডি ১ নম্বর গলিসংলগ্ন ডাস্টবিনের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মেয়ের মরদেহ পান।
এ ঘটনায় বিলকিস বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করলে পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করে। এরপর অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরে হত্যায় জড়িত মীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি, একটি পাটের বস্তা, একটি টুপরি উদ্ধার করা হয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার অতনু চক্রবর্তী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, নাসরিনকে চিপস ও চকলেট কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার লোভ দেখায় মীর হোসেন। এরপর রিকশাযোগে টাইগারপাস এলাকার ইউসুফ চৌধুরী সড়কসংলগ্ন পাহাড়ের নিচে নিয়ে যায় এবং মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটায়। পরবর্তীতে মীর হোসেন একটি ভ্যানগাড়িতে নাসরিনের বস্তাবন্দি মরদেহ টাইগারপাস এলাকা থেকে কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি ফলমণ্ডি ১ নম্বর গলিসংলগ্ন ডাস্টবিনে রেখে চলে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।