মোংলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৮ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
সোমবার সকালে চাল উদ্ধার কাজ শুরু করে পরিবহন ঠিকাদার। প্রবা ফটো
ছয় হাজার বস্তা সরকারি চাল নিয়ে মোংলার পশুর নদে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল উদ্ধার কাজ চলছে। সোমবার (১ এপ্রিল) এ উদ্ধার কাজ শুরু করে সোনারগাঁও শিপিং নামে চাল পরিবহনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী সরকারি এই চালের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক খাদ্য গুদাম খুলনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী।
গতকাল সকালে মোংলার পশুর নদের ত্রিমোহনায় কার্গো লাইটার এমভি কিং সাজ্জাদ-৬ এর ধাক্কায় ১৭৫ টন সরকারি চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
খুলনার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গরীব ও অসহায়দের জন্য মোংলা খাদ্য গুদামে ৩০০ টন চাল মজুদ করার লক্ষ্যে কয়েকদিন আগে খুলনার মানিকতলার মহেশ্বরপাশা সিএসডি (সেন্ট্রাল ষ্টোরেজ) থেকে ১২৫ টন চাল মোংলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তাদের নিবন্ধিত পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুর রশিদ এন্টারপ্রাইজ এবং সোনারগাঁও শিপিং ওই চাল পৌঁছে দেয়। বাকি ১৭৫ টন চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া বাল্কহেড জাহাজ সোনারগাঁও শিপিং নামের পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গতকাল (রবিবার) ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে যায়। মোংলার পশুর নদের ত্রিমোহনায় এলে দুর্ঘটনায় ১৭৫ টনের ছয় হাজার বস্তা চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নৌযানটি ডুবে যায়।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী একই মানের এই ছয় হাজার বস্তা চালই সরকারি গোডাউনে পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে চাল পরিবহনের সময় সব ধরনের দুর্ঘটনার দায়দায়িত্ব ওই পরিবহন ঠিকাদারকে নিতে হবে। তাদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে। যেকোন দুর্ঘটনার ৪৫ দিনের মধ্যেই একই মানের চাল গোডাউনে পৌঁছে দিতে।’
এদিকে সরকারি চাল পরিবহনের ক্ষেত্রে বাল্কহেড (এক সুকান বিশিষ্ট) জাহাজ ব্যবহারে কতটা ঝুঁকিমুক্ত, জানতে চাইলে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কন্ট্রোলার মুভমেন্ট মশিয়ার রহমান বলেন, ‘সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে চাল পরিবহনে ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো নৌযান ব্যবহার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
‘রবিবার সোনারগাঁও শিপিং তাদের চাল পরিবহনে ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো নৌযান ব্যবহার করেছে কিনা, সেটি লোড পয়েন্টে খোঁজ নিব। কোনো গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।