কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৪ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩০ পিএম
কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রঙ্গণে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুদণ্ডপ্রপ্ত দুই আসামি। প্রবা ফটো
কুমিল্লার হোমনায় বোনের সঙ্গে প্রেম করায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. শামীম মিয়া ও সাফলেজি গ্রামের মো. দুলাল মিয়া। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। রায় ঘোষণাকালে তারা দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, হত্যার শিকার ফয়সলের সঙ্গে আসামি মো. শামীম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সলের মোবাইলে শামীম কল করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে আসতে বলে। তখন ফয়সাল কাউকে কিছু না বলে সেখানে যায়। পরে ফয়সল বাড়িতে ফিরে না আসায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এ ঘটনায় ফয়সলের বাবা মো. মকবুল হোসেন হোমনা থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রথমে আসামি মো. শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার শামীমকে জিঙ্গাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সে ও দুলাল ফয়সলের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে এবং মরদেহটি বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখে।
এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন ফয়সলের বড় বোন সালমা আক্তার মো. শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. শামীম মিয়া ও মো. দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।