কালবৈশাখী ঝড়
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:১১ এএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টি ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। সিলেট নগরী ও আশপাশের উপজেলায় চলা প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ের সময় বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে অনেকের বাসাবাড়ি ও গাড়ির কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বড় বড় শিলাখণ্ড দেখে আঁতকে ওঠে অনেকেই।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টা ২০ মিনিটে প্রথমে ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। তীব্র বাতাসের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় তীব্র শিলাবৃষ্টি। সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানায়, প্রচণ্ড শব্দে মনে হয়েছিল ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এ রকম বড় শিলাবৃষ্টি আগে কখনও দেখেনি।
স্থানীয়রা জানায়, শিলার ওজন ছিল প্রায় আধা কেজি। বৃষ্টির সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়। বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে।
ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ পুনরায় ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত প্রচণ্ড গরম। চৈত্র-বৈশাখে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়।