বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪ ২০:১৮ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৮ পিএম
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রবা ফটো
ঈদে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে বগুড়ায় চারটি পয়েন্টে পুলিশের কন্ট্রোল রুম বসানো হবে। যানজট তৈরি হতে পারে এমন ১০টি স্থান চিহ্নিত করে সেসব স্থানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে গাড়িদহ ইউনিয়নের দশমাইল হতে সিমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা পর্যন্ত হাইওয়ে মহাসড়ক পরিদর্শন করে ধুনটমোড় এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৪ এপ্রিলের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়ার কথা দিয়েছে। ঘরমুখী মানুষদের যাতে কোনোভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, তা নিয়ে কাজ চলমান আছে৷’
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে মহাসড়কের যে ১০টি স্থান গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলো হলো- মির্জাপুর ওভারপাস, ছোনকা বাজার, ঘোগা বটতলা, ঘোগা ব্রিজ, ফুড ভিলেজের সামনে, পেন্টাগন হোটেলের সামনে, বনানী লিচুতলা, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে মাটিডালী বিমান মোড় ও মোকামতলা। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজারে রাত-দিন অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে।
শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শেরপুর উপজেলার বিশেষ করে ঘোগা ব্রিজ ও ছোনকা বাজার মির্জাপুর এলাকা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। মহাসড়কের এসব স্থানে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।’
বগুড়া পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৪ এপ্রিলের মধ্যে সংস্কার করে দেওয়ার কথা দিয়েছে। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।’
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট) সার্কেল সজীব শাহরীন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহ জামাল সিরাজী, পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর থানা অফিসার রেজাউল করিম, শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা, কারিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।