দয়া করে আমাকে কেউ বিব্রত করবেন না: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার লক্ষে অনুষ্ঠিত ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। 

তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য এভাবে একটা মিটিং করতে হবে, এটা আমি ভাবিনি। কারণ আমি এমন কোনো নেতাকর্মী তৈরি করিনি, যারা পদ-পদবি বা নামের স্থান দেখে রেগে যাবেন কিংবা উত্তেজিত হবেন।’

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকালে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিল আমি এখানে আজ নাম ঘোষণা করব। না, আমি এখন এখানে কোনো নাম ঘোষণা করব না। উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশ নিতে চাইছে তারা সবাই আমার সন্তানের মতো। আমি আমার সন্তাদদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করে বলব, দয়া করে আমাকে কেউ বিব্রত করবেন না। আমি কোনোদিন কারও কাছে চাইনি। গত ফতুল্লা নির্বাচনেও আমি কোনো সিদ্ধান্ত দেইনি, এর আগের নির্বাচনেও দেইনি। আমি আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি, এটা যদি আমার দুর্বলতা মনে করেন, তাহলে দুর্বলতা।’

তিনি বলেন, ওমরাহ হজ্ব পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার আগে নেত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গিয়েছি। আমি ওমরাহ থেকে দেশে আসার ২/৩ দিন আগে মিনিস্ট্রি থেকে আমাকে অনেকে কল দিল এবং বলল, কি করলা তুমি? আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে বলছি, আমি বিন্দু পরিমাণ আফসোস করিনি। এর কারণ হলো, আমি অনেকবার ওমরাহ করেছি, কিন্তু এইবারই প্রথম নবীজী (সাঃ) এর রওজা শরীফের একেবারে সামনের সাড়িতে আমাকে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি মন ভরে ইবাদত করেছি, যখনই বাম দিকে ফিরে তখনই নবীজী (সাঃ)’র রওজা শরীফ দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে পৃথিবীর অন্য কিছু পাওয়ার চাইতে এই পাওয়াটা অনেক বড়, কেন না আমি জানি আমাকে একদিন না ফেরার দেশে চলে যেতে হবে।’

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালী মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক বিন্দু, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজন সহ থানা আওয়ামী লীগের অসংখ্য  নেতারা।