ঈদযাত্রা
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২০:৩২ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:১৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চার রুটে বিশেষ আটটি ট্রেন চলাচল করবে। এই বিশেষ ট্রেন, আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে ১০টি মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন ও ৯৪টি বগি মেরামতের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এসব ইঞ্জিন ও কোচ মেরামত শেষ পর্যায়ে। নির্ধারিত লোকবল ও পুরোনো ইঞ্জিন দিয়ে আটটি বিশেষ ট্রেন চালাতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কারখানার শ্রমিকরা পুরোনো কোচগুলোর সিট মেরামত, ওয়েল্ডিং, লোহার পাত লাগানো ও রঙ করায় ব্যস্ত। ঈদের আগেই সব কোচ ও ইঞ্জিন পরিবহন বিভাগকে বুঝিয়ে দিতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
ঈদযাত্রার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাহাড়তলী কারখানার ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ইতোমধ্যে ৬৮টি কোচ পরিবহন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি কোচগুলোর মেরামতও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর, মেইল ও বিশেষ ট্রেন ছাড়াও এবার চারটি রুটে বিশেষ আটটি ট্রেন চলাচল করবে। ঈদযাত্রায় এবার পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিন সাড়ে ১৩ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে। পরিবহন বিভাগও প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা উপহার দিতে ইঞ্জিন-কোচ ও পাওয়ার কার নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদযাত্রায় নির্ধারিত আসনের প্রায় তিন গুণ বেশি যাত্রী চলাচল করেন। ট্রেনের ভেতরে ও বগির প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে কিংবা ইঞ্জিনের পাশে বসে যাত্রীরা বাড়ি ফেরেন। অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া স্পেশাল ট্রেনগুলো নির্ধারিত চালক ও গার্ড দ্বারাই পরিচালিত হবে। স্পেশাল ট্রেনের জন্য অতিরিক্ত চালক ও গার্ড থাকছে না। তারা আট ঘণ্টার পরিবর্তে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করবেন। এই অতিরিক্ত চাপে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হবে এসব বিশেষ ট্রেন। ফলে মাঝপথে বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি কোনো ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে।
তবে মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম বলছেন, কিছু ট্রেনে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী চলাচল করে থাকে। কোনোভাবেই যাতে ট্রেনের শিডিউলে ব্যাঘাত না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধেও বিভিন্ন সেকশনে অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও কোচ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধারকারী ট্রেন ও লোকবল প্রস্তুত রাখা হবে।