চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২০:২০ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
নেপাল-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত ২৯ হাজার ২৮ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টে ও ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার লোৎসে আরোহণ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশ থেকে আগে এভারেস্ট আরোহণ হলেও একই অভিযানে এভারেস্ট ও লোৎসে আরোহণের চেষ্টা হয়নি। এবার সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্তান ডা. বাবর আলী। আগামী ১ এপ্রিল তিনি অভিযানের উদ্দেশ্যে নেপাল যাবেন। সেখান থেকে একই সঙ্গে এবার তিনি এভারেস্ট ও লোৎসে আরোহণ করবেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছে পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স। সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দীন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নুর ফয়সাল।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ কিংবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১ এপ্রিল অভিযানের উদ্দেশ্যে নেপাল যাবেন বাবর। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানান সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে তিনি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশে রওনা হবেন। সপ্তাহখানেকের ট্রেক শেষে পৌঁছবেন বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে এখান থেকেই। বেস ক্যাম্প থেকে উপরের ক্যাম্পগুলোতে ওঠানামা করে শরীরকে অতি উচ্চতার সাথে খাপ খাইয়ে নেবেন এই পর্বতারোহী। পুরো অভিযানে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস।
পর্বতারোহণে বাবরের পথচলা শুরু ২০১৪ সাল থেকে। ট্রেকিংয়ের জগতে তার পায়েখড়ি হয় ২০১০ সালে; পার্বত্য চট্টগ্রামের নানান পাহাড়ে পথচলার মধ্য দিয়ে। চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। এই ক্লাবের হয়েই গত দশ বছরে হিমালয়ের নানান শিখরে অভিযান চালিয়ে আসছেন তিনি। ভারতের উত্তর কাশ্মির নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন ২০১৭ সালে। ২০২২ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম ও টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলাম (২২,৩৪৯ ফুট) আরোহণ করেন বাবর।
সংবাদ সম্মলনে বাবর বলেন, ‘বেশিরভাগ পর্বতারোহী বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিন্দুতে দাঁড়িয়ে বাকি পৃথিবী দেখার স্বপ্ন দেখেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই একই অভিযানে এভারস্টের সঙ্গে লোৎসে আরোহণের এই প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বাবরের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।