× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অফিসে বসে গুনে গুনে ঘুষ নিলেন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী

মধ্যাঞ্চলীয় অফিস

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম

ভূমি কার্যালয়ে বসে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া।

ভূমি কার্যালয়ে বসে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের ভূমি কার্যালয়ে বসে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন সহকারী আবদুল কাদির মিয়া—এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় ভূমি সহকারী আবদুল কাদির মিয়াকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ। কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলছেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে কি?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, এরও বিহিত হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল কাদির মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভূমি অফিস থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে আর বাড়তি কথা বলতে চাই না।’

মাইজকাপন ইউনিয়নের লোকজন জানিয়েছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না সহকারী আবদুল কাদির। ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো কাজে ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা না দিলে তিনি কথাই বলেন না। কাজ তো দূরের কথা।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় লোকজন। নুরুল ইসলাম, মাহবুবুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, খারিজ ফি তিন হাজার টাকা হলেও সেখানে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। টাকা দেওয়ার পরও কাজ করতে গিয়ে হয়রানিসহ মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর আবদুল কাদির মিয়ার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা