গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:২৬ পিএম
বঙ্গবন্ধুর ‘গানম্যানের পরিবারের’ কাছে টাকা দাবি করায় অভিযোগ জমা হওয়ার পর গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের এক আদেশে ওসি মো. শাহ আলম ও এএসআই আল আমিনকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহাবুব আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।
এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গানম্যান ও দেহরক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোহাম্মদ ইসলামের পরিবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার বাদশা মিয়া স্কুল রোড এলাকায় জমি কিনে বসবাস করে আসছেন। ৫ মাস আগে মহানগরীর মোগরখাল এলাকার আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে ২৫ লাখ মূল্যের ৮ শতাংশ জমি কেনেন মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. আ. জলিল। মোট টাকার মধ্যে তিনি সাড়ে ৯ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করেন। বাকি সাড়ে ১৫ লাখ টাকা পরে পরিশোধ করার আশ্বাসে জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু পরে ওই টাকা আর পরিশোধ করতে না পারায় জমি বিক্রির জন্য রাজ্জাকের মনোমানিল্য হয়। একপর্যায়ে উকিল নোটিস পাঠান আব্দুল মান্নান। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মান্নান গাছা থানায় মো. আ. জলিলকে বাদী করে একটি অভিযোগ দেন।
মো. আ. জলিল জানান, অভিযোগটি তদন্ত করতে ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে সাদা পোশাকে যান গাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন। বাড়িতে যাওয়ার পরই এএসআই আল আমিন হন্য হয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। ঠিক ওই সময় তিনি বাথরুমে থাকায় তার ছেলে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। পরে তিনি বেরিয়ে এলে তার সঙ্গেও বাজে আচরণ ও গালাগাল করা হয়। পরে তাদের মধ্যে আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে এএসআই আল আমিন তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তিনি জমি বিক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মাস সময় নিয়ে দেবেন বলে জানান। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সঙ্গে আরও খারাপ ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তাকে গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাছা থানার নিচতলায় নারী ও শিশু হেল্পডেস্কে বসিয়ে রেখে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। একপর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলেন এএসআই আল আমিন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমকে জানালে তিনি কোনো প্রতিকার না করে তাকে পাওনাদারের টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে বলেন। পরদিন ১২ মার্চ জলিল বিষয়টি গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহাবুব আলমকে মৌখিকভাবে এবং পরে লিখিতভাবে জানান।
ব্যবসায়ী মো. আ. জলিল বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি এর সঠিক বিচার করেছেন। আমি এর চেয়ে আর বেশি কিছু চাই না।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ বলেন, ‘গাছা থানার ওসি ও এএসআইকে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।’