মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:২১ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সই জালিয়াতি মামলায় দুই বছরের দণ্ডিত আসামি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।
বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৮ এ রেনু আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশে দেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়েছি। সেটি নিরীক্ষার পর তামিল করার আগেই তিনি নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন কোয়েল বলেন, ‘একটা মিথ্যা মামলায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর। তখন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। আজ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা জামিনের জন্য আপিল করব।’
মামলার এজাহার অনুযায়ী, মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা পায় উত্তরা ব্যাংক। পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন।
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সই জাল করে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মসিউর রহমানের জায়গায় ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তিনি চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখানে প্রমাণিত হয়, এমন কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকার বংশাল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় একই কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অপর আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে আদালত এ মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।