জব্দ করা ভেজাল দুধ এতিমখানায় বিতরণ, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শেখের হাট এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ হাজার ২০০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ করে খুলনা ও সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে এ দুধ বিতরণ করা হয় স্থানীয় কয়েকটি এতিমখানা ও মাদরাসায়। ভেজাল দুধ এতিমখানায় বিতরণ করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শেখের হাট এলাকার প্রশান্ত ঘোষের বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ দুধ জব্দ করা হয়।

খুলনা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভেজাল দুধের গোপন তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে ১ হাজার ২০০ লিটার দুধ জব্দ করা হয়। পরে রমজান মাসের কথা বিবেচনায় ৫০ লিটার করে স্থানীয় কয়েকটি মাদরাসায় বিতরণ করা হয়েছে।’

ভেজাল দুধ কোথাও বিতরণ করা উচিত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুধে কোনো প্রকার ক্ষতিকার কেমিক্যাল ছিল না। তাই বিতরণ করা হয়েছে।’ এ কথা বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তালা উপজেলার খলিল নগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’

সদর উপজেলার ইউনিয়নের চেয়াম্যান জাকির হোসেন, তালা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও সিদ্দিকা মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা মনিরুল ইসলাম জানান, ভেজাল দুধ মাদ্রাসায় বিতরণ করা উচিত হয়নি। ভেজাল দুধ হিসাবে যেহেতু জব্দ করা হয়েছে, সেহেতু এসব দুধ নষ্ট করে দেওয়া উচিত ছিল প্রশাসনের। 

সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক নামজুল হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘শেখের হাট এলাকার প্রশান্ত ঘোষের বাড়ি থেকে ভেজাল দুধ জব্দের পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে খুলনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশ্ববর্তী ঢাকা ফুড নামে একটি বেকারিকে দশ হাজার টাকা ও বাইগুনি এলাকায় হলুদের মিলে ক্ষতিকর রং মেশানোয় নিত্য দাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’

অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক দীপঙ্কর দত্ত, তালা উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শরিফ মোহাম্মদ আব্দুল মতিনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।