লালমনিরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪ ২২:৩৫ পিএম
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে লিটনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে আহাজারি করছে তার স্বজনরা। প্রবা ফটো
দীঘলটারী একটি দুর্গম গ্রাম। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার এই গ্রামটির মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এ গ্রামের মোকছেদুল হকের ছেলে মো. লিটন মিয়া বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতে কুচবিহার জেলার এমজেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গছেন।
বিজিবি-১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, ‘বিএসএফ লিটনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে বিজিবিকে। এ ঘটনায় আমরা কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লিটনের লাশ ফেরত দেওয়া কথা রয়েছে।’
লিটনের বন্ধুদের বরাতে পরিবার জানায়, গত ২৬ মার্চ রাত ৩টার দিকে দীঘলটারী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আনতে যান লিটন। সেখানে বিএসএফের গুলিতে আহত হন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে এমজেএম হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বুধবার তার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকের ছায়া নামে বাড়িতে। লিটনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা দুলালী বেগম ছেলে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিলাপ করছেন। লিটনের খালা আদুরী বেগমও বিএসএফের বিচার চেয়ে কান্না করছেন। দুলালী বেগম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘লিটন একজন শিশু। সে ভুল করে হয়তো সীমান্তে যেতে পারে। কিন্তু এজন্য তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করতে হবে? আমরা গরিব মানুষ। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বিএসএফ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
লিটনের বাবা মোকছেদুল হক বলেন, লিটন ট্রলি চালাতেন। অন্যের প্ররোরচনায় ভারতীয় গুরু আনতে গিয়ে মাত্র ২০০ টাকার জন্য বিএসএফের গুলিতে জীবন হারাল। যার গরু আনতে গিয়ে সে জীবন দিয়েছে, প্রশাসন যেন তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনে।