ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ২৩:১২ পিএম
কনস্টেবল সোহেল রানা, তার ছেলে রাইসুল ও বেলন দে (মাঝে)। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরী থেকে নিখোঁজ বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট নয়জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
সোমবার (২৫ মার্চ) নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় আর কারও নিখোঁজের অভিযোগ নেই।’
আজ উদ্ধার হওয়া মৃতরা হলো কনস্টেবল সোহেল রানা, তার ছেলে রাইসুল ও বেলন দে। এর মধ্যে রানার মরদেহ মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার সায়দুল্লাহ মিয়ার ঘাট থেকে, রাইসুল কালীপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের পাশ থেকে ও ফেরিঘাট মৎস্য আড়তসংলগ্ন এলাকা থেকে বেলনের মরদেহ উদ্ধার হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি এনামুল হক বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া তিনজনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২২ মার্চ সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ একটি ভ্রমণতরী ডুবে যায়। এ সময় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ হয় নয়জন। তিন দিনে তাদের মরদেহ উদ্ধার হলো।
আগের দুই দিনে উদ্ধার হয়েছে- ভৈরবের কমলপুর এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা, আমলাপাড়ার টুটন দের মেয়ে মেঘলা দে আরাধ্যা, আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে, কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী, তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ইভা এবং নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দাড়িয়াকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার।