রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৫:০২ পিএম
শিশু-কিশোরদের প্রবেশনে মুক্তি দিয়ে তাদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হয়। প্রবা ফটো
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে রাজশাহীতে ৩৪টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া ৪১ শিশু-কিশোরের মধ্যে ৩৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর বিচারক তাদের জাতীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে বিদায় জানান এবং তাদের উন্নত জীবন কামনা করেন।
রায়ে দেওয়া তথ্য মতে, প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া এসব শিশু-কিশোররা তাদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকবেন। সেখানে থেকে তাদের ভালো কাজ করতে হবে। তাদের ওপর আরোপিত শর্তগুলো পালন হচ্ছে কি না তা নিয়মিত তদারকি করবেন ও রিপোর্ট দেবেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা।
জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন, বহন ও মারামারির মতো ঘটনায় ৩৪টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় বিচারক প্রবেশনে তাদের মুক্তি দেন।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্যকোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়।’
এর আগে গত এক বছরে রাজশাহীর শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক প্রায় ৮০টি মামলায় ৮০ জন শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশে আমরা বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তসমূহ আরোপ করি। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করায় বিজ্ঞ আদালত আজ ৪১ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিলেন। এসময় তাদের হাতে ফুল ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।